
মো বিল্লাল হোসেন বাবু:
নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৩ মার্চ ২২ ইং তারিখে দুড়দুড়িয়া ইউপি ১০ জন ইউপি সদস্য তার নামে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে অভিযোগের বিষয়টি মিমাংসা করার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সে অন্যন্য ইউপি সদস্যদের ইউনিয়ন পরিষদে যেতে নিশেধ ও ইউনিয়ন পরিষদের কোন কার্যক্রম করতে নিশেধ সহ ইউনিয়ন পরিষদে জনগণ কোন কাজে আসিলে বিভিন্ন অযুহাত দেখাইয়া অশ্লীল ভাষায় গালাগালিজ করে ।
স্থানীয় সুত্রে ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,
১. ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ইউনিয়নের নওয়াপাড়া হাটে ড্রেন নির্মাণ ১,১৭,০০০/- (সেখানে কোন কাজ হয় নাই)
২. ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে নওপাড়া হাটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন বরাদ্দ ৩,৮৩,০০০/- ( ক্যামেরার পরিমাণ মাত্র ১০ টি)
৩. ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে একই রাস্তা দুইবার সংস্কার করেন (বরাদ্দ ৭,৪৬,০০০/- টাকা)
৪. ২০২২-২০২৩ অর্থ বছর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নওপাড়া গ্রামে হারান সরদারের বাড়ি হাসেমের বাড়ি পর্যন্ত ৩,৭৪,০০০/- টাকা
৫. ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ভেল্লাবাড়িয়া মাজার হতে হালুয়া ডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, (একই রাস্তা দুইবার)
৬. ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ৯নং ওয়ার্ডে রাধাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ সংস্কার বরাদ্দ ১,৫০,০০০/- টাকা (টি আর)
৭. ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ১% করের দুই লক্ষ টাকা প্রকল্প ছাড়াই অন্য হিসাবে জমা দিয়া উক্ত টাকা আত্মসাৎ।
৮. ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের ট্যাক্স আদায়ের সমস্ত টাকা হিসাব ছাড়াই একাই আত্মসাৎ সহ আরও অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ।
উপরক্ত দূর্নীতির ঘটনা তদন্ত পূর্বক ইউনিয়নের জনগণের কল্যাণে ও ইউনিয়য়ের সার্বিক উন্নয়ের স্বার্থে অত্র দূর্নীতি পরায়ণ চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোযোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কোন সাড়া পাওয়া যায় নাই।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় বলেন,
কিছু মেম্বারদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে সমন্নয় হচ্ছেনা কয়েকবার চেষ্টা করেছিলাম সমাধান করার কিন্ত সমাধান হচ্ছেনা,উনারা এক সাথে সমন্নয় করে কাজ করতে পারছে না,স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ অনুযায়ী অনাস্থাপ্রস্তাবের ভিক্তিতে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।.