তারেক আজিজ চৌধুরী,স্টাফ রিপোর্টার

রমজান মাসে বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রে মসজিদে মসজিদে ইফতারের বিশেষ আয়োজন থাকে। পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনার মসজিদে হারামাইনের চত্বরের ইফতারের আয়োজনই বিশ্বে সবচেয়ে বড়। কঠোর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে সেখানে লাখো মুসল্লি একসঙ্গে ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।

ইফতারের আগে মুসল্লিরা মসজিদুল হারামাইন মক্কা ও মদিনায় আসর নামাজ পড়তে আসেন। ইফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে। মসজিদুল হারামাইন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন আইটেমের ইফতারের ব্যবস্থা করে।

মসজিদুল হারাম মসজিদে নববী চত্বরে রোজাদারদের শরবত, রুটি, লাবাং, দই, খেজুর ও জমজমের পানি দিয়ে ইফতার করানো হয়।

মক্কা ও মদিনার অভ্যন্তরের বাসিন্দারা এমনকি দূরদূরান্ত থেকেও অনেকে গাড়ি ভরে ভরে নিয়ে আসেন জুস, পনির, বিশেষ ধরনের রুটি. খেজুর, গাওয়া এমনকি চা-ও। আর তা দিয়ে ইফতার করে পরিতৃপ্তির ঢেকুর তোলেন হারাম শরীফ ও মসজিদে নববীতে যিয়ারতে আসা লাখো মুসল্লি। এমন কোনো মুসল্লি-যিয়াতকারী খুজে পাওয়া যাবে না যে বলবে যে, ভাই আমি পরিতৃপ্ত হইনি।

মসজিদুল হারামাইন ছাড়াও মক্কা-মদিনার অন্য সব মসজিদেও থাকে ইফতারের বিশেষ ব্যবস্থা। রোজাদারের জন্য অনেক স্থানে তাঁবু তৈরি করেও ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়।

সারা বিশ্ব থেকে ওমরা ও জিয়ারতে আসা লাখো মুসল্লী ইফতারের সামগ্রী নিয়ে মসজিদুল হারামাইনের চত্বরে একসঙ্গে ইফতারে অংশগ্রহণ করে।

আসরের নামাজের সময় থেকেই পবিত্র কাবা শরিফ ও মসজিদে নববির গেট দিয়ে মুসল্লিরা ধীরস্থিরভাবে প্রবেশ করতে থাকেন। ইফতার সামনে নিয়ে সব ভেদাভেদ ভুলে মুসলিম উম্মাহ এক কাতারে বসে পড়েন।

মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববির ইফতারের দৃশ্য এক অপূর্ব আধ্যাত্মিক আবহ তৈরি করে,যা সব মুসলমানের হৃদয় আলোকিত করে তুলে। যেন সেখানে বিরাজ করে জান্নাতি পরিবেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!