তারেক আজিজ চৌধুরী, স্টাফ রিপোর্টার 

পৃথিবীময় হানাহানি,মানুষে মানুষে হিংসা।মানবতা বিপন্ন যেন কালো গালিবে জড়ানো,মুখ লুকিয়ে থাকে স্বার্থের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুস্থ বিবেক।দর কষাকষির ভিরে মুখ থুবড়ে পরে থাকে সামাজিক ঐক্য।একদিকে ক্ষুধার্থ মৃত্যুপথযাত্রী মানুষ,অভাব অনটনে জীবনের কাছে পরাজয় মেনে নেওয়া মানুষ। অন্যদিকে দামি গাড়িতে চড়ে যাওয়া সাহেব। পৃথিবীর চিত্রই আজ এরকম।

রাস্তায়-ফুটপাতে কিম্বা কোনো গ্রামের পরতে পরতে থাকা অসুস্থ, ক্ষুধার্ত মানুষের আর্তনাদ।এইসব অসহায় মানুষের আর্তনাদ শুনার মতো যেন সময়ই নেই কারো কাছে।এমন প্রশ্ন বর্তমানে ভিত্তিহীন বলা যায় কারণ প্রতিটি সমাজেই জাগ্রত বিবেকের সংস্পর্শে গড়ে উঠেছে মানবিক সংগঠন।

লোহাগাড়া উপজেলায় অসহায়দের নিয়ে কাজ করা অসংখ্য মানবিক সংগঠন রয়েছে। রয়েছে ওমান প্রবাসী মো: সেলিম উদ্দিন এর মতো মানুষ। একটি সাদাসিধে মুখায়ব, সাদাসিধে পোশাক আর সঙ্গে সাদাসিধে মন এই নিয়ে মো: সেলিম উদ্দিন। নিঃসংকোচে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন রোগে,শোকে,অভাবে দিশেহারা মানুষজনের প্রতি।

তার ঠাঁই হয়েছে মানুষের মণিকোঠায়।তার সারাটি জীবনে কেবল মানুষের সেবাই করে গেছেন। তার কাছে নেই কোনো ভেদাভেদ। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আপন করে নেন। মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে অমর হয়ে থাকতে চান মানবকুলে।

ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য মো: সেলিম উদ্দিন এর প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে মসজিদ ও মাদরাসা।অসংখ্যা তিনি দরিদ্র্য ঘরের বহু মেয়ের করেছেন বিবাহের ব্যবস্তা।
অসহায় অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্যই যেন তার জন্ম।

প্রবাসে হাজারো ব্যস্ততার মাঝে একটু অবসরে জীবনটা যেখানে পরিবারকে নিয়ে আয়েশে কাটানোর কথা, তিনি তা না করে পুরো সময়টাই ব্যয় করে থাকেন সমাজ ও মানুষের চিন্তায়।

মো: সেলিম উদ্দিন চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া গ্রামে তার জন্ম।

মো: সেলিম উদ্দিন এর শ্রম,মেধা ও পরামর্শে অসংখ্য মানবিক সংগঠন গড়ে উঠেছে বহু সংগঠনের দাতা সদস্য ও তিনি তার নির্দেশনায় সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে উপজেলায় অসংখ্য তরুণ নিরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন। আত্মপ্রচার নয়, আত্মতৃপ্তিই যাঁদের মূল উদ্দেশ্য। মানবতার কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া তেমনই একজন মো: সেলিম উদ্দিন ।

মো: সেলিম উদ্দিন মনে করেন,ধর্মীও বিধি বিধান এর পাশাপাশি মানবতার সেবায় মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন দুর্লভ কিছু নয়! তিনি বলেন,যার যার অবস্থান থেকে যদি প্রতিটি মানুষ সাধ্যমত অসহায়ের জন্য কাজ করে তবে সহজেই সমাজ থেকে বিপন্নতা দূরীভূত হবে।তিনি আরও বলেন মানুষের জন্য কাজ করলে মনে যে প্রশান্তি আসে তা অন্যথায় মিলা দুষ্কর!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!
%d bloggers like this: