
_সানজীদা আফরীন
যতো টা সময় আমরা_
এক সাথে ছিলাম।
দিন মাস বছর!
হোক যতোই কাঁটা তারের বেড়া,
আর ভৌগলিক দুরত্ব !
তার পর ও ঐ সময় টা- ই ছিল,
আমার যাপিত জীবনের,
সব থেকে ঐশ্বর্যময় সময়!
যেখানে প্রতি টা ক্ষণে আমি জানতাম,
আমার একটা তুমি আছে।
ভীষণ রকমের সুন্দর একটা,
ভালোলাগার আবেশে
আবির ছড়ানো মুগ্ধতা,
ছুঁয়ে থাকতো আমাকে!
জীবনে প্রথমবারের মতো মনে হয়েছিল যে,
বসুন্ধরা আসলেই অনেক বেশি সুন্দর!
তাইতো প্রতিদিন পাখি গান গায়,ফুল ফোঁটে।
বসন্তের মন রাঙিয়ে হেমন্তের_
শিশির মায়াবী পরশ বুলায়।
আচ্ছা মনে আছে তোমার ?
সেই হেমন্তের মিষ্টি সকালের কথা?
যখন খুব সকালে পাখি ডাকা ভোরে!
বৃষ্টির ফোঁটার মতো টুপটাপ করে_
অবারিত শিশিরের শব্দের সুরের বীনা
তোমাকে আমি শুনাতে চেয়েছিলাম?
সেই সময়ের প্রতিটা সকাল _
আমার শুরু হতো তোমার সাথে!
হয়তো সারাদিন আর আমাদের,
কোন কথা হতো না।
কিন্তু তারপরও তুমি_
আমি, আমরা রয়ে যেতাম,
একে অপরের সাথে!
কেমন করে যেন এক অলিখিত_
সন্ধি বলে মায়ার বাঁধনে!
বাহ্যিক ভাবে আমাদের দেখা_
এবং কথা না হলে ও!
আত্মিক ভাবে যে পুরো টা জুড়ে_
থাকতে পারা যায়।
প্রবল ভালোবাসার মুগ্ধতার পরশে!
হৃদয়ের অন্তরীণে হৃদয়ের তাপে!
যা আমি দেখিয়েছি তোমাকে _
শত কোটি আলোকবর্ষ দূরে থেকেও !
হয়তোবা কখনোই কোনদিন হবে না
আমাদের আঁখি তে আঁখি তে_
মোদির ও মিলন।
কিংবা, অধরা মাধুরী মিশিয়ে,
প্রণয়ের আবির ছড়ানো –
রঙে রাঙিয়ে দেয়া!
কোন নির্জন দুপুরে কে_
এলোমেলো ঝগড়া আর,
খুনসুটি তে মাতিয়ে রেখে _
শুইয়ে দেয়া বিকেলের কোলে।
আকাঙ্ক্ষিত সেই ছুঁয়ে দেখা ক্ষণে!
কিন্তু আমি জানি_
যখনই তুমি একা হবে ,
তোমার একাকিত্বের_
কোন নির্জনতায়!
তখন তুমি একটু হলে ও মগ্ন হবে,
তোমার সেই “তুমি” কে ভেবে_
তার মুগ্ধতার বিভোরতায়।
একটু একটু করে সেই কবেই,
আমি যে,মস্তিষ্কের নিউরনের সমস্ত কোষে _
তোমার অমীয় সুরের প্লাবন ছড়িয়ে দিয়া,
“মম হৃদয় রক্তরাগে তব চরণ দিয়াছি রাঙিয়া” ।।
২৩-০৫-২০২৩