মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রতিবাদ নিউজ, ভোলা, বরিশাল, বাংলাদেশ।

গত ২১/০৮/২০২৩ ইং তারিখে ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে – মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গত ২০০৪ ইং সালের একুশে আগষ্ট তারিখে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সদ্য প্রতিবাদ দিবস উপলক্ষ্যে ভোলার জেলা আওয়ামীলীগ অফিসে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের ঘোষনা মোতাবেক আলোচনার শেষে ভোলা জেলা কোর্ট মসজিদের ঈমাম মাসুদ মাওলানা মিলাদ সহকারে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ও নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের আত্মার সন্তুষ্টির জন্য দোয়া করেন। অনুষ্ঠানে ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, ভোলা উপজেলা সদর আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, ভোলা সদর পৌর আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বিভিন্ন পর্যায়ের বরেন্য নেতৃবৃন্দের যুগোপযোগী চৌকস প্রানবন্ত বক্তৃতার মধ্যে- একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিভিন্ন বক্তাদের বক্তব্যের মধ্যে আওয়ামীলীগ কর্তৃক বিএনপির মানবাধিকার লংঘন সংক্রান্ত অভিযোগের তুমুল সমালোচনার কথা পাওয়া যায়। বৃহৎ পরিসরের বক্তাগনের মধ্যে ভোলার ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির হোসেন বিপ্লব দুপুর একটার সময় শেষ করা বক্তব্যের শুরুতে- তার স্বভাব সুলভ সাবলীল মধুর প্রেমের ভাষা (তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে ফুল নিতে আসতে, জানিনা ফুল নাও না আমাকেই বেশি ভালোবাসতে) কে অদৃশ্য ইঙ্গিত করে উপস্থিত সবাইকে – “শুভ অপারাহ্ন” উক্তির বাংলা সালাম প্রদান করেন। তার বক্তব্যের প্রতিটি পরতে পরতে সন্মানিত উপস্থিতির প্রত্যেকের উপর তার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা, মায়া, মমতা, আদর, স্নেহ ও উপচে পরা ভালোবাসার বহি:প্রকাশ ঘটে। তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা জেলার সব ক’টি আসনেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করতে- সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি তার রাজনীতির শিক্ষকের উধৃতি দিয়ে বলেন যে, ১৯৮১ ইং সাল হতে এই পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রীকে বাইশবার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। একুশে আগষ্টের শক্তিশালী আর্জেস গ্রেনেড হামলা দিয়ে পুরো আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে। আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মানব ঢালের ব্যরিকেড দিয়ে তাঁকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এমনকি তদানীন্তন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ঘটনার নিকটস্থ কোন সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলো ভর্তি পর্যন্ত করে নাই। এবং প্রতিটি শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা কান্ডে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রতিবারই সতর্ক হয়েছে। শোক প্রকাশের সাথে সাথে জেলা পরিষদ সভাপতি আব্দুল মমিন টুলু তার বক্তব্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন। জেলা সভাপতি একুশে আগষ্টের শোকার্ত ঘটনায় কুলাঙ্গার তারেক জিয়াকে দায়ী করে চব্বিশ জন জাতীয় নেতার হত্যার কথা স্মরন করিয়ে দেন। ছবিতে- আওয়ামীলীগের জেলা সভাপতি মজনু মোল্লা বক্তৃতা প্রদানরত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!
%d bloggers like this: