মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রতিবাদ, ভোলা, বরিশাল, বাংলাদেশ।

প্রায় ত্রিশ বছর আগে, ভোলা জেলার চরফ্যাসনের শশীভূষন থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের মৃত: আ্ব্দুর রশিদ কয়ালের পুত্র রফিক কয়াল (বর্তমানে ওমানে পলাতক), ময়মনসিংহে ভালোবাসার রোষানলের খুনী শাহজাহান এর দ্বারা বাবুল খুনের মত, ভোলা জেলার বর্তমান সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আবুল কাশেমকে খুন করার উদ্যোগ নিয়েছে। উক্ত উদ্যোগের মাষ্টার মাইন্ড মোঃ সিরাজ (৪০) পিতা- মোঃ মালেক বেপারী সাং- দুই নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন- এওয়াজপুর, থানা- শশীভূষন, উপজেলা- চরফ্যাসন, জেলা- ভোলা, বাংলাদেশ। প্রেমের ও পরকিয়ার বলি হয়ে ময়মনসিংহের বাবুলের লাশ মিললো নেত্রকোনার পুর্বধলা বিলে। ময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিখোঁজের ১৩ দিন পর পরকিয়া প্রেমিক বাবুল মিয়ার (৪৫) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে তারাকান্দা থানা পুলিশ। জানা গেছে, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে তারাকান্দা থানার পুলিশ পার্শ্ববর্তী পূর্বধলা উপজেলার সিধলং বিল থেকে বাবুল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে। নিহত বাবুল মিয়া তারাকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে প্রেমিকা সখিনা বেগম ও তার স্বামী শাহজাহান মিয়াকে ঢাকার তুরাগ এলাকা থেকে আটক করে। আটককৃতদের (তাদের) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক পূর্বধলা উপজেলার সিধলং বিল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য তারাকান্দা থানা পুলিশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, কোদালিয়া গ্রামের মৃত: হাসেন আলীর ছেলে বাবুল মিয়ার সাথে মামাতো বোন সখিনা বেগমের সাথে বিবাহের পূর্বাপরের দীর্ঘ দিনের প্রেম ও পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। ঐ সর্ম্পকের ঘটনা সখিনার স্বামী জানতে পেরে স্ত্রীকে সাবধান করা সত্বেও স্ত্রী তা মানে নাই তাই তাদেরকে (সখিনা ও বাবুলকে) প্রতিরোধ করা যায় নি। এ ঘটনার জের ধরে স্ত্রী সখিনাকে দিয়ে তার স্বামী শাহজাহান মিয়া তার মামাতো ভাই বাবুল মিয়াকে গত ২৪ আগস্ট ডেকে নিয়ে আসে। সেই রাতেই দু’জনে মিলে বাবুল মিয়াকে হত্যা করে সিধলং বিলের মাঝ খানে ছালার বস্তার ভিতর ভরে একটি খুটি দিয়ে পুতে রাখে বলে শাহজাহান দাবী করে। এ ঘটনার পর থেকে পরিবার জানে বাবুল মিয়া নিখোঁজ রয়েছে। বাড়ির অনেকেই জানতো সখিনার সাথে বাবুল মিযার প্রেমের ঘটনা। তাই তারা নিখোঁজের ঘটনাটি খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। অবশেষে গত ৩রা সেপ্টেম্বর বাবুল মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া তার বাবা নিখোঁজের ঘটনায় তারাকান্দা থানায় একটি জিডি করে। সেই জিডি মোতাবেক ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জরিত তার মামাতো বোন সখিনা বেগম ও তার স্বামী শাহজাহান মিয়াকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ঢাকার তুরাগ এলাকা থেকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সিধলং বিল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে তারাকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার মহিষবেড় গ্রামের মৃত: জালাল উদ্দিনের পুত্র শাহজাহান মিয়া (৪৫)এবং তার স্ত্রী সখিনা বেগম(৪০)। ছবিতে- সাংবাদিক মোঃ আবুল কাশেম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!
%d bloggers like this: