
সাব্বির মির্জা স্টাফ রিপোর্টার
ব্রিজ নির্মাণের ১০ বছর অতিবাহিত হলেও দুপাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়ক না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে গ্রামের হাজারো মানুষ। অপরদিকে ব্রিজের সাথে রাস্তা সংযোগ না থাকায় দশ বছরেও মানুষের ভোগান্তির অবসান হয়নি।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের জনদুর্ভোগ বিশ্বরোড থেকে গ্রামে আসার জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয় ১০ বছর আগে। ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও ব্রিজের দুপাশে ও রাস্তায় মাটি ভরাট না করার কারণে ওই ব্রিজটি এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। রাস্তার অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারন মানুষ।
বুধবার ( ২০ অক্টোবর ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া এলাকায় ব্রিজের উভয় পাশে ও রাস্তায় মাটি ভরাট না থাকায় ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী।
জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৪ সালে তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া ওয়াবদা বাঁধ হইতে হামকুড়িয়া কবরস্থান পর্যন্ত রাস্তা আসার জন্য প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। হামকুড়িয়া এলাকার হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করে কৃষি কাজসহ বিভিন্ন কাজে আসা যাওয়া করেন। ব্রিজের দুই পাশের রাস্তা মেরামত, করা হলে এলাকার কয়েক হাজর হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা যাবে।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিজ থাকলেও রাস্তা না থাকায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না ব্রিজটি। ফলে তিন-চার কিলোমিটার পথ উল্টো ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। ব্রিজের একপাশে রাস্তা না থাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের চলাচলে চরম অসুবিধা হচ্ছে। বছর ঘুরে আবারও বর্ষা আসলো কিন্তু ব্রিজের মাটি ভরাট হল না। ব্রিজের সংযোগ রাস্তায় মাটি ভরাট না করায় দুর্দশার মধ্যে দিয়ে মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে।
হামকুড়িয়া গ্রামের সাংবাদিক মোঃ সাহাজান আলী বলেন, এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল ব্রিজ, কিন্তু ব্রিজ নির্মিত হলেও এর কোন সুফল আমরা পাচ্ছি না। রাস্তা না থাকায় রোগী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত দুরহ হয়ে পড়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাট না করেই চলে যায়।
হামকুড়িয়া বাসিন্দা ফারুক আহমেদ বলেন, ব্রিজ আছে কিন্তু রাস্তা নেই। ব্রিজের উভয় পাশে মাটি না থাকায় আমারা আসা যাওয়ার করতে পারি না।
মাটি ভরাটের বিষয়ে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম বলেন, ব্রিজের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ১০ বছর হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আমি একাধিকবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও আমার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ব্রিজে মাটি ভরাটের জন্য অনুরোধ করেছি। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্ত আমাকে সবসময় বলেন ব্রিজের ঠিকাদার মাটি ভরাট করে দিবে। সামান্য মাটি ভরাটের জন্য ব্রিজ দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছেন না।
মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেট বলেন, গত বছর ব্রিজ ও রাস্তায় মাটি দিয়েছি, একসাথে মাটি ভরাট করলে মাটি পড়ে যায়। আমার সময়ে যদি সুযোগ পাই তাহলে আবার মাটি ভরাট করে দিব।
তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইফতেখার সরোয়ার ধ্রুব বলেন, প্রকল্পের জন্য প্রথমিক একটি তথ্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।