সাব্বির মির্জা স্টাফ রিপোর্টার
মালবাহী ও যাত্রীবাহী নৌযান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের শ্রমিকরা।
শনিবার মধ্যরাত থেকে দেশের সব নৌবন্দরের নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সোমবার অন্য এলাকার মতো সিরাজগঞ্জেও চলছে এই কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের পক্ষে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য আব্দুল ওয়াহাব মিয়া জানান, বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে শান্তিপূর্ণভাবে নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতি চলছে।
তিনি আরও জানান, সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ, নৌযান শ্রমিকরা কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, কনট্রিবিউটি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। সরকার ও জাহাজ মালিকরা তাদের এ দাবি পূরণ করলেই তারা কর্মস্থলে ফিরবেন।
বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের শ্রমিক এজেন্ট আবুল হোসেন জানান, নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতি চলার কারণে কোনো কার্গো জাহাজ থেকে মালামাল লোড আনলোড হয়নি। কোনো জাহাজ এখান থেকে ছেড়েও যায়নি। আবার কোনো জাহাজ এ বন্দরে আসেনি। ফলে এ বন্দরে কর্মরত ৪ শতাধিক শ্রমিক সারা দিন কর্মহীন হয়ে সময় পার করেছেন।
বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোর যমুনা ওয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপক আবুল ফজল মো. সাদেকিন জানান, নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতির কারণে কোনো জাহাজ থেকে জ্বালানি তেল আনলোড করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য উত্তরাঞ্চলের কোথাও জ্বালানি তেলের কোনো সমস্যা হবে না। বাঘাবাড়ী ওয়েল ডিপোতে পর্যাপ্ত জ্বালানি তেল মজুত আছে। এ মজুত থেকে সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।