বগুড়ার শেরপুরের কেল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া, কুপ্রস্তাব, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ অকথ্য ভাষায় গালাগালি করায় প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ২২ আগস্ট সোমবার বিকালে অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের কেল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করে আসছে। যৌন হয়রানীর বিষয়ে মুখ খুললেই তাদের শারীরিক নির্যাতন করা সহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এমনকি ছাত্রীদের কমন রুমে হরহামেশেই ঢুকে পরেন। এক সপ্তাহ আগে অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী ও শারীরিক নির্যাতন করায় তার পরিবারের লোকজন সম্মানের ভয়ে বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ। এরকম অভিযোগ রয়েছে আরো ছাত্রীদের। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে ২২ আগস্ট সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।

কেল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, যৌন হয়রানী ও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে ছাত্রীরা আমাদের কাছে বললে আমরা প্রধান শিক্ষককে কিছুই বলতে পারিনা। বলতে গেলে উল্টো আমাদেরকেই গালিগালাজ করেন।
কেল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলীকে আমি বেশ কয়েকবার সতর্ক করে দিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে কেল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম সহ কয়েকজন শিক্ষক ও দফতরী মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজমুল ইসলাম বলেন, আমি তিনদিনের প্রশিক্ষনে আছি। প্রশিক্ষন শেষে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও কেল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Don`t copy text!
%d bloggers like this: