নুরনবী রহমান স্টাফ রিপোর্টারঃ

———————————————–

বগুড়ায় একঘণ্টার ব্যবধানে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীসহ চার শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা আছেন।

(২৬ অক্টোবর) বুধবার দুপুরে শহরের তিনমাথা আদর্শ ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় ও শহরের আমতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় পুলিশ বিকেল ৪ টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা শনাক্ত করতে পারেনি।

ছুরিকাহত চারজন শিক্ষার্থী হলেন, সরকারি আজিজুল হক কলেজের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো.তুষার (২০), সরকারি শাহ সুলতান কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী সোহান আলী (১৯), পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. রাশেদ (১৮) ও ক্যাডেট মাদ্রাসা পালশার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. সাকিব (১৬)। এদের মধ্যে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী তুষারকে দুপুর দেড়টার দিকে শহরের আমতলা মোড় ও বাকি তিনজনকে আড়াইটার দিকে আদর্শ ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের সামনে ছুরিকাঘাত করা হয়।

বগুড়া সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ছুরিকাহত চারজন শিক্ষার্থী কেউ কারও পূর্ব পরিচিত নয়। এছাড়াও ১০ থেকে ১৫ জনের দুর্বৃত্তরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের কাউকে এই চারজন শনাক্ত করতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে চারজন শিক্ষার্থী জানিয়েছে, দুর্বৃত্ত সবার হাতে দেশীয় অস্ত্র ও হকিস্টিক ছিল।

সরকারি আজিজুল হক কলেজের বাংলা বিভাগের ছুরিকাহত শিক্ষার্থী তুষার জানান, দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রবাস থেকে বের হয়ে আমতলা মোড়ে গিয়েছিলাম। এসময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে করে এসে আমার মুঠোফোন ও ম্যানিবাগ কেড়ে নেয়। তাদের বাঁধা দিতে গেলে আমাকে ছুরিকাহত করে ও হকিস্টিক দিয়ে বেধম পেটায়।

পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাশেদ জানান, আমি স্কুল শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় ১০ থেকে ১৫ জন যুবক দেশীর অস্ত্র ও হকিস্টিক হাতে আমাকে ডাক দেয়। তাদের কথা না শুনে পালানোর চেষ্টা করলে আমাকে ছুরিকাহত করে তারা। আমি তাদের কাউকেই চিনিনা।

বগুড়া  সদর থানা পুলিশ  জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি একই গ্রুপ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এখনও কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি। তবে পুরো শহরজুড়ে পুলিশ কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!