
নুরনবী রহমান স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া সদরের চার নম্বর ওয়ার্ডের চক সুত্রাপুর দুই সন্তানের জননী পরকীয়ার টানে প্রেমিকার সাথে উধাও নিরুপায় হয়ে স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বগুড়া সদরের চার নম্বর ওয়ার্ডের চক সুত্রাপুর জহুরুল পাড়ার জাকির হোসেনের পুত্র মোঃ রুবেল হোসেন দীর্ঘ আট বছর পূর্বে বিবাদী মোছাঃ মিশু খাতুন কে( ২৩) ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক বিবাহের পর আট বছর সংসার চলাকালে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান প্রতিবন্ধী ফারিয়া( ৭) ও একটি পুত্র সন্তান রেহান( ২) সংসার জীবনে ভালই কাটছিল তাদের দিনগুলি বিবাদী মোছাঃ নিশু খাতুন পরকীয়ার করার সুযোগে বাদী রুবেল হোসেন কে বলে চেহারা খারাপ হয়ে যাচ্ছে তুমি হয়তো লুকিয়ে লুকিয়ে মাদক সেবন কর তোমাকে ভালো হওয়ার জন্য মাদক নিরাময় কেন্দ্র ভর্তি করে দেব এই বলে বিবাদী মিশু খাতুন গত ১/৯/২০২২ ইং তারিখে মিশুর কথা শুনে রুবেল হোসেন ভর্তি হয় একমাস তিন দিন থাকার পর গত ৩/১০/২০২২ ইং তারিখে রুবেল হোসেন মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে বের হয়ে এসে দেখে মক্কা মসজিদ সংলগ্ন ফকিরপাড়ার জনৈক রবিন উদ্দিন শেখ আগুনকে নিয়ে মিশু তাঁর দু সন্তানকে ফেলে রাতের আধারে বিবাদী সদ্য তোলা কিস্তির ৩০ হাজার টাকা ও একটি অটো রিস্কা বিক্রি করে দেন মিশু ঘরের দামী আসবাবপত্র নিয়ে উধাও হয়ে যায় বিষয়টি রুবেলের মা রুলি বেগম, স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবগত করে বিবাদী আগুন রুবেল হোসেন কে মোবাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদান করে আগুন বলে তোর স্ত্রী তোকে তালাক দিয়েছে আর আমাকে বিবাহ করেছে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোর খবর আছে এমন অবস্থায় বাদী রুবেল হোসেন তার দুই সন্তানকে নিয়ে থানায় স্বশরীরে হাজির হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়রি নাম্বার ৬৮৪ বিষয়টি তদন্তের জন্য এ এস আই আহসান হাবীবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিবাদী নিশু খাতুন জহুরুল নগরের শহিদুল ইসলামের কন্যা শিশু সন্তানকে ফেলে উধাও হওয়ার পর এলাকার চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে মিশু খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্বভ হয়নি।