নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বগুড়ায় আলোচিত প্রভাষক পারভেজ হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব-১২, বগুড়া সিপিএসসি, কোম্পানী কমান্ডার মীর মনির হোসেন (১১ সেপ্টেম্বর) সোমবার রাত ৯টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বগুড়া শহরের বৃন্দাবন পাড়ার মৃত তুহিন মিয়ার ছেলে মোঃ তন্ময় সাব্বির (২৮), অপরজন শহরের শিববাটি কালিতলা এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মোঃ আল আমিন (২৬)। জানা গেছে, র‌্যাব-১২ বগুড়ার একটি আভিযানিক দল সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বগুড়া শহরের কালিতলা এলাকা থেকে আসামি মোঃ আল আমিন (২৬) কে গ্রেফতারসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি সিএনজি উদ্ধার করে। ওই দিন বিকেলে রাজশাহী জেলার সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজ হত্যাকান্ডের মূলহোতা আসামি মোঃ তন্ময় সাব্বিরকে গ্রেফতার করে। পবরর্তীতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। তারা হত্যা সংঘঠন করে ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি যোগে পালিয়ে যায়।  প্রথমে তারা ঢাকায় আত্মগোপন করলেও এরপর ঢাকা থেকে তারা রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আত্মগোপন করে। পরববর্তীতে তাদের মধ্যে একজন রাজশাহী থেকে ফিরে এসে বগুড়া সদরে নিজ এলাকায় অবস্থান করলে তাকে সিএনজিসহ গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের মূলহোতা কিলার সাব্বিরকে রাজশাহী সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-১২, বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার মীর মনির হোসেন জানান, পারভেজকে মূলত বাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা করা হয়েছে। র‌্যাবের এ ধরনের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরো জোরদার করা হবে। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে শাজাহানপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।  উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর কৈচর বিএম টেকনিক্যাল এন্ড কারিগরি কলেজের প্রভাষক শাহজালাল তালুকদার পারভেজকে মাথাইল চাপর ফকিরপাড়ায় দুর্বৃত্তরা সিএনজি যোগে এসে মৃত পারভেজের মোটর সাইকেলকে ব্যারিকেড দিয়ে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। এ ঘটনার পর মৃত শাহজালাল তালুকদার পারভেজ এর স্ত্রী বাদী হয়ে বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় নামীয় সাতজনকে আাসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!
%d bloggers like this: