
নুরনবী রহমান স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জে জোর পূর্বক বসত বাড়ীর সামনে প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষে আহত-২ থানায় অভিযোগ দায়ের।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কিচক চৌধুরী পাড়া -মৃত আলতাব আলী চৌধুরী ছেলে এফতাদুল হক নয়ন চৌধুরীর বসত বাড়ীর সামনে জোর পূর্বক ভাবে প্রাচীর নির্মাণ করে ভোগ দখল করিবার বিভিন্ন পায়তারা করিয়া আসিতেছে
একই গ্রামের গাজীউল হক পরিবারের লোকজন।
এর জের ধরে (১০ সেপ্টেম্বর) রবিবার দুপুর ১টার সময়
এফতাদুল হক নয়ন চৌধুরীর বসত বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে সম্পত্তিতে প্রচীর নির্মাণ কাজ করা কালে ১। মোঃ গাজীউল হক (৫৮), ২। মোঃ আমিনুল ইসলাম (৫২), পিতা-মোঃ নবাব আলী চৌধুরী, ৩। মোছাঃ সাধনা বিবি(৫০), স্বামী-মোঃ গাজীউল হক, ৪। মোঃ মহিদুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৃত আবুল কাশেম, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে ধারালো ছোরা, রামদা, কাঠের বাটাম, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া উক্ত স্থানে আসিয়া এফতাদুল হক নয়ন চৌধুরীর প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা নিষেধ প্রদান করে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে এফতাদুল হক নয়ন চৌধুরীকে গুরুত্বর আহত করে।
এ ঘটনা দেখে এফতাদুল হক নয়ন চৌধুরীর ভাতিজা রাকিবুল ইসলাম মিম আগাইয়া আসিলে তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে আঘাতটি বাম হাত দ্বারা ঠেকাইলে আঘাতটি বাম হাতের একটি আঙ্গুলে লাগিয়া গুরুত্বর কাটা মারাত্বক রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় এফতাদুল হক নয়ন চৌধুরীর ডাক চিৎকার দিতে থাকিলে আশেপাশের প্রতিবেশি আগাইয়া আসিলে গাজীউল হকসহ তার লোকজন
বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি প্রদান করা সহ প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
অতপর আশেপাশের প্রতিবেশি ঘটনাস্থল হইতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় নয়ন চৌধুরী ও তার ভাতিজাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নয়ন চৌধুরীর ভাতিজাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
এ বিষয়ে গাজীউল হক সাংবাদিকদের জানান, আমার মেয়ে একজন প্রতিবন্ধী তাকে নিয়ে নয়ন চৌধুরীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত মামলা মোকদ্দমা চলছে, এই কারণে আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
এব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।