জিয়াউল ইসলাম জিয়া
স্টাফ রিপোর্টার

ভিকটিম ৩০ বছর বয়সের একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। গত দুই মাস যাবত ঋতুস্রাব না হওয়ায় এবং ভিকটিমের অস্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দেহ হলে ভিকটিমের মা এবং প্রতিবেশি চাচিরা গত ০৬ জুন ২০২৩ তারিখ ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ভিকটিম স্বীকার করে গত ২২ মার্চ ২০২৩ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৬০০ ঘটিকায় বাড়ির পাশে ইসলামাবাদ জামে মসজিদের মাঠে গাছের পাতা জরো করছিল। ঐ সময় আশেপাশে কোন লোকজন না থাকায় আসামী মোঃ রবিউল ইসলাম অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার মানসে ভিকটিমকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে কৌশলে মসজিদের পিছনে ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। এরপর আসামী মোঃ রবিউল ইসলাম ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ঘটনার বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধ করে। পরবর্তীতে আসামী মোঃ রবিউল ইসলাম(৩০) বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী ভিকটিমের সহিত আরো ৪/৫ বার যৌন সঙ্গম করে। আসামী মোঃ রবিউল ইসলাম ভিকটিমকে ঘটনার বিষয়ে কাউক না জানাতে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করে।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মোঃ রবিউল ইসলাম’কে আসামী করে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৫, তারিখ ১৭ জুন ২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সং/২০০৩) এর ৯(১)। মামলা রুজু হওয়ার পর লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানা কর্তৃক বিশেষ সংবাদে জানতে পারে উক্ত আসামী চট্টগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের পরিবার আসামীকে গ্রেফতারে জন্য র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি আবেদন দাখিল করেন। উক্ত আবদেনের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার আসামী চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন ভাটিয়ারী এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখ র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি অভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রবিউল ইসলাম (৩০), পিতা- মোঃ আঃ সালাম মিনু, সাং- দক্ষিণ বালাপাড়া, থানা- আদিতমারী, জেলা-লালমনিরহাট’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে উক্ত ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী এবং সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড এলাকায় আত্মগোপন করেছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!
%d bloggers like this: