
মোঃ রুবেল ইসলাম, নীলফামারীঃ
মোটা অর্থের বাণিজ্য করে গোপনে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করেছে বলে এমন অভিযোগ উঠেছে নীলফামারী কিশোরগঞ্জের দক্ষিণ বাহাগিলী দারুস সুন্নত দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর দুটি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে চিঠি প্রকাশ হলে এলাকায় আলোচনার ঝর বইছে। এনিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার মুখোমুখি মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। শনিবার ০৯ই সেপ্টেম্বর দুপুরে সরাসরি ওই প্রতিষ্ঠানে গেলে শোনা যায়, সুপারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের আলোচনা ও সমালোচনার কথা। জানতে চাইলে এলাকাবাসি জানায়, উক্ত মাদ্রাসায় নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। নাম না বলা শর্তে স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসার সভাপতি তোজাম্মেল হক ও মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সামসুল আলম যোকসাজশে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের কাছে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গোপনে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করেছে।
অন্য দিকে মাদ্রাসাটির জমি দাতা আব্দুল করিম জানান, আমাকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২৪শতাংশ জমি নিয়েছে সুপার। দাতা সদস্য করার কথা থাকলেও জানিনা রাতারাতি কিভাবে কখন, কোথায় ম্যানেজিং কমিটি হয় কিছুই জানিনা। আমার ছেলেকে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা, কিন্তু সুপার তার নিজেস্ব ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করছেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাংবাদিকসহ স্থানীয় ব্যক্তিদের ভীড় জমাতে থাকে। জানতে পারলাম গোপনে নাকি নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে, এলাকার কেউ জানে না। আমি নিজেও মাদরাসা প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে দীর্ঘ ছয় বছর অফিস সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। একপর্যায়ে সুপারের টালবাহানায় নিরুপায় হয়ে ঢাকা শহরে রিক্সা চালিয়ে অনাড়ম্বর ভাবে জীবন যাপন করি। আমার ছেলেকে নৈশপ্রহরী হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার কথার জোড় অনুরোধ করলে সুপার আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন”।
আরেকজন জমিদাতা মোঃ আলী বলেন, সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অনিয়ম দূর্নীতিসহ নানান অভিযোগ আছে তার সঠিক তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন বাজারে মুদির দোকান ব্যবসায়ী ছকিনুর ইসলামসহ অনেকে বলেন, মাদ্রাসার সুপার মাদ্রাসাটিকে নিজের বাপদাদার সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহৃত করে, কাউকে তোয়াক্কা করেন না। নিয়োগ হয়েছে কিনা কেউ জানেন না বলে জানান তাঁরা।
এব্যাপারে ০১৭৫১৪৭৬৬০৫ এই নাম্বারে মাদ্রাসার সুপারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম নুরুল আমিন শাহ্ এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি।
মুঠোফোনে ডিজির প্রতিনিধি মোছাঃ মেহেরুন নেছা জানান, আমি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা হবে।