
নিজস্ব প্রতিনিধি, মোঃ রুবেল আলী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ১৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লিয়াকত আলী, আমি পবিত্র কুরবানির ঈদের দিনে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হওয়া নয়নের পিতা।গত ১০জুলাই ২০২২ ইং, তারিখ পবিত্র ঈদের দিন আনুমানিক বিকেল ৬:৩০ ঘটিকার সময় আমার ছেলে নয়নকে নিশংসভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়েছিল ৩ তিন মাস পেরিয়ে গেলেও আমার সন্তান হত্যার তদন্ত সঠিকভাবে হচ্ছে না। আমার সন্তানকে হত্যা মামলার সঠিক তদন্ত রিপোর্ট পাবার জন্য প্রশাসন এবং সাংবাদিক ভাইদের সহযোগীতা কামনা করেন নয়নের পিতা লেয়াকত বলেন হত্যাচক্রের আসামীগণ কিছু ধরা পড়েছে কিন্তু গুরুত্বপূর্ন কিছু আসামী এখনও বাইরে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাইরে থাকা আসামীগণের হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশিষ সরকারের কাছে আসামীদের অবস্থানের সঠিক সন্ধান দেয়ার পরও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ ও গ্রহণ করা হচ্ছে না। আসামীগণ ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারী, একাধিক মামলার আসামী এবং এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এরা কিভাবে ছাত্রলীগে প্রবেশ করে? হত্যাকান্ডের শিকার নয়ন ১৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের একজন কর্মী এবং পেশায় রং মিস্ত্রী। নয়নের খুনিরা এখনও ছাত্রলীগের পদে বহাল আছে। তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দলথেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। একজন মানুষ মৃত্যুর সময় যে কথা বলে তা আদালতে সত্য স্বাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। আমার ছেলে মৃত্যুর সময় আমার কাছে তার হত্যাকারীদের নাম বলে গেছে। আমার ছেলের মৃত্যুর সময় বলে যাওয়া কথার সাথে স্বাক্ষীগণের কথার মিল রয়েছে আমার ছেলের বলে যাওয়া আসামীরা হলো-মইনুল ইসলামের ছেলে, ফয়সাল বিহারী (৩০) মোঃ ফিরোজের ছেলে মেরাজ (৩২) মৃত শাহিদের ছেলে রাব্বী বিহারী, (২৪) মতি লালের ছেলে শিমুল (২৫) আলিম (২৪) আজিম ২৮, উভয় পিতা সাইফুল ইসলাম, লালু চোরের ছেলে, মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫০) লালু চোরের ছেলে গাফফার (৫৫) সর্ব থানা ও জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আসামীরা প্রভাবশালী ও টাকা পয়সাওয়ালা হওয়ায় পুলিশ এসব আসামীদের বাঁচাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কারন যে কয়জন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দি না নিয়ে তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া তাদের রিমান্ডেও নেয়নি এমনকি যে সকল আসামি পলাতক রয়েছে তাদেরকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হচ্ছে না তাছাড়া এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে পুলিশের কোন কার্যক্রম আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এছাড়া স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য না নিয়ে পুলিশ তাদের মতে করে স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য শিখিয়ে দিচ্চে। আর সেভাবে স্বাক্ষী না দিলে এই মামলার স্বাক্ষীদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি এফআইআরভূক্ত কয়েকজন আসামীকে বাদ দিয়ে চার্জসিট দেওয়ার জন্য দুইজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বিভিন্নভাবে জোরপূর্বক চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে পুলিশ মামলা সঠিকভাবে তদন্ত করবেনা বলে আমরা আশংকা করছি। এখন সন্তানহারা পিতা ও মাতা হিসেবে আমরা আমাদের সন্তানের হত্যা ন্যায় বিচারের জোর দাবী জানাচ্ছি। যাতে ভবিষ্যতে এসব সন্ত্রাসীদের দ্বারা আর কোন বাবা-মার এভাবে বুক খালি না হয়।
আয়োজনেঃ ১৫ নং ওয়ার্ড পৌরঃ এলাকাবাসী চাঁপাইনবাবগঞ্জ।