
সিরাজগঞ্জের উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের জনপ্রিয় ইউপি সদস্য খোদেজা বেগমের চিকিৎসায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলো “এক চিলতে হাসি ফাউন্ডেশন ” নামের একটি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
১৮ জুন শনিবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খোদেজা বেগমের বড় ছেলে মোহাম্মদ খোয়াজ ও আপন ভাই আব্দুর রাজ্জাকের হাতে এই চিকিৎসা তহবিল হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এক চিলতে হাসি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল ইসলাম, রেবেকা সুলতানা, সাবিনা ইয়াসমিন ও অত্র মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মন্জুর আলম।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউর করিম ও বারুহাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মইনুল হোসেনের সাথে পরামর্শক্রমে উক্ত ফাউন্ডেশনের পক্ষে এই চিকিৎসা সহায়তা তহবিল হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় তাঁরা খোদেজা বেগমের চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও নিউরো সার্জন ডাঃ সুশান্ত কুমার সেন জানান, খোদেজা বেগমের মাথায় আঘাত লেগে ব্রেইন কিছুটা থেতলে গেছে।
এ ছাড়া বাম হাতের কব্জির উপরের দু’টি হাড়ের একটি ভেঙে গেছে। বাম চোখের নীচে মারাত্মক ইনজরি থাকায় সেখানে সেলাই দিতে হয়েছে ।
এ ছাড়া খোদেজা বেগমের আরো উন্নত সেরা প্রদানের লক্ষে বর্তমানে তাঁকে আইসিইউ তে নিবির পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ব্রেইনের আঘাত জনিত কারণে খোদেজা বেগমের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
উল্লেখ্য যে, বারুহাস ইউনিয়নের মেম্বার খোদেজা বেগম পরপর দুই মেয়াদে নির্বাচিত মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তাঁর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।খোদেজা বেগম কখনো দিন মজুর কিংবা কখনো তাড়াশ সদরের একটি হোটেলে থালাবাসন মাজা ও পয়পরিষ্কার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
গত মেয়াদে একটি ঘর বরাদ্দ পেলে সেটি অন্যকে দিয়ে নিজে বাস করেন নিজের জীর্ণ শীর্ণ কুড়ে ঘরে।
গত নিজ বাড়ী থেকে তাঁর কর্মস্থল তাড়াশ সদরের শুভ হোটেলে আসার সময় মারাত্মক দূর্ঘটনার শিকার হয়ে মূহুর্ষ অবস্থায় জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।