
মোঃ শরীফ আহমেদ স্টাফ রিপোর্টার:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কুসুম্বী দারুল উলুম কওমী হাফেজিয়া মাদ্রাসার উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ সাইফুল ইসলাম।
জানা যায়, উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামে কুসুম্বী দারুল উলুম কওমী হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্টার পর থেকে মাদ্রাসাটির ছাত্রে সংখ্যা প্রায় ২০০জন। সেখানে এতিম ছাত্র রয়েছেন ১৩৯জন। কিন্ত সরকারী বরাদ্দ পান মাত্র ৬০এতিম ছাত্র। মাদ্রাসাটি পরিচালনা কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে অনুদান সংগ্রহ করে শিক্ষক, কর্মচারীসহ সমস্থ ব্যয় করছেন। এছাড়া কুসুম্বী দারুল উলুম কওমী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এতিম ছাত্রদের বই,কলম,তিন বেলা মানসসম্মত উন্নত খাবার,চিকিৎসাসহ সকল কিছুই ব্যায় করেন তারা।
কুসুম্বী দারুল উলুম কওমী হাফেজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার লোকজনের অনুরোধে প্রায় ১০বছর যাবত মাদ্রাসার দায়িত্ব পালন করছি। আমরা গ্রামের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে এতিম ছাত্রদেরসহ সকল উন্নয়নমুলক কাজ করছি।
কুসুম্বী দারুল উলুম কওমী হাফেজিয়া মাদ্রাসার সাধারন সম্পাদক আলহাজ সাইফুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসার আয় ও ব্যায় সঠিকভাবে করে মাদ্রাসার উন্নয়নের নিরলসভাবে কাজ করছি।
কুসুম্বী দারুল উলুম কওমী হাফেজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম আব্দুস সামাদ বলেন, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে বিনা বেতনে দীর্ঘদিন পরিশ্রম করেছি শুধু মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এখন এই মাদ্রাসা থেকে প্রতি বছর কোরআনে হাফেজ হচ্ছেন। এটাই বড় সাফল্য।
এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও বারুহাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম তাজফুল বলেন, অত্র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা কালীন থেকেই আমার সাধ্যমত আমি মাদ্রাসায় অনুদান দিয়ে থাকি, দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর থেকেছি সে জায়গা থেকেও আমি প্রতি মাসেই মাদ্রাসার খরচ পাঠিয়েছি আমার জানামতে অত্র মাদ্রাসার কমিটি স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করে আসছে আমাদের গ্রামবাসী এই মাদ্রাসার বিষয় ও কমিটির বিষয়ে কখনোই কোন অভিযোগ তোলেনি আমার ব্যক্তিগতভাবে আমি যেমন আগেও অনুদান দিয়েছি, ধারাবাহিকভাবে আমি সারা জীবন দিয়ে যাব আমি এই প্রত্যাশা রাখি।