
মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,স্টাফ রিপোর্টার,ডোমার নীলফামারীঃ ঝড়ে সরবরাহ লাইনের ত্রুটির কারণে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার পর থেকে ডোমার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২০ ঘণ্টা যাবত বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকেরা।
বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ বলছেন, বর্তমানে সব কিছু বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ২০ ঘণ্টা যাবত বিদ্যুৎ না থাকায় পানিয় জলের সমস্যা হচ্ছে, মুঠোফোনে চার্জ ফুড়িয়ে গেছে বৈদ্যুতিক পাখা চলছে না, জ্বলছে না বৈদ্যুতিক বাতি। রান্না-বান্নাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটেছে। চারিদিকে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার।
ডোমার নেসকো কার্যালয় সুত্র অনুযায়ী ডোমার বিদ্যুৎ কার্যালয়ের অধিনে ৩০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ঝড়ো বাতাস শুরু হলে সরবরাহ লাইনের ওপর গাছ ও গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হলেও সরবরাহ লাইনের ত্রুটির কারনে আবারো লাইন বন্ধ হয়ে যায়। প্রধান সরবরাহ লাইনের ত্রুটির কারণে সকাল ৬টার দিকে অল্প কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ১১ হাজার কেভি লাইন চালু করা হয়। এখন শাখা লাইনের ত্রুুটির মেরামত কাজ চলছে। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওইসব লাইন চালু করা সম্ভব হবে বলে দাবী নেসকোর।
উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের খাটুরিয়া গ্রামের মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে ঝড় শুরু হলে তখনই বিদ্যুৎ চলে যায়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আর বিদ্যুৎ আসেনি। এতে করে ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে গেছে, বাতি জ্বলছে না, গরমে ফ্যান চালাতে পারছিনা, পাম্প দিয়ে পানি উঠানো যাচ্ছে না, ফলে নাওয়া খাওয়ারও সমস্যা হচ্ছে, বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা খুবই সমস্যায় আছি।’
একই গ্রামের সহিদ হাসান বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে বিদ্যুৎ নাই। সারা রাত গরমে আর অন্ধকারে কাটলো। আজকে সারাদিন বিদ্যুতের কোন দেখা নেই। বিদ্যুৎ কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে তারা বলে এক ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। কিন্তু তাদের এক ঘণ্টা আর শেষ হয় না। এখন মুঠোফোনের চার্জও শেষ। কখন বিদ্যুৎ আসবে সেটাও তারা সঠিকভাবে বলছেন না।’
বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বোড়াগাড়ী হাট সংলগ্ন এলাকার বাসিদা ওমর ফারুক বলেন, ‘গতকাল রাত ৯টার দিকে বিদ্যুৎ গেছে সারারাত বিদ্যুৎ আসেনি। আজকে দুপুর তিনটার দিকে বিদ্যুৎ এসেছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোন কথা বললে নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) ডোমার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নওশাদ আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতের ঝড়ে বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের ওপর বিভিন্ন স্থানে গাছ ও গাছের ডালপালা পড়ে অনেক জায়গায় সরবরাহ লাইনের তারও ছিড়ে যায়। সকাল ৬টার দিকে প্রধান সরবরাহ লাইন চালু করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ১১ হাজার কেভি লাইন চালু করা হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৮০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে এখন শাখা লাইনগুলোর সংস্কার কাজ চলছে। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সব লাইন চালু করা যাবে। তিনি আরও বলেন, ডোমার সরবরাহ লাইনের ওপর গাছ বেশি থাকায় এ সমস্যা হয়েছে।