
একে মিলন সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদ আয়োজিত “বহুধাবিভক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে জাতিকে রক্ষা করতে একমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের বিকল্প নেই” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহিদ আন্দোলনের সভাপতি মোহাম্মদ জাকির হোসেন।সুনামগঞ্জ পৌর শহরের উকিলপাড়াস্থ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে শনিবার সকাল ১১ টায় উক্ত সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সুনামগঞ্জের মাধ্যমিক/কলেজ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে উক্ত মতবিনিময় সভায় মূখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিতি ছিলেন হেযবুত তওহিদ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো: রিয়াদুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিতি ছিলেন
মো: আলী হোসেন, সভাপতি সিলেট বিভাগ হেযবুত তওহীদ, সফিকুর রহমান শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সিলেট বিভাগ হেযবুত তওহীদ, এডভোকেট এম.এ, মোত্তালেব হোসেন, সভাপতি, হবিগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদ।
অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জের কলেজ, বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দসহ সুশীল সমাজ প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহিদ সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহিদ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. রিয়াদুল হাসান। এ সময় তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আমাদের রসুল (স:) কে জিবরাঈল আ: এসে কি বললেন? পড়ো তোমার প্রভূর নামে। অর্থাৎ আমাদের প্রথম শিক্ষকই আল্লাহ সুবাহানাহুতাআলা। শিক্ষার গুরুত্ব মানুষ সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই স্বয়ং আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন। সেই সাথে মানুষ পৃথিবীতে কিভাবে ন্যায় ও সত্যের মাধ্যমে সামগ্রিক জীবন পরিচালনা করে, একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলবে, কিভাবে একে অপরের সাথে সদাচারণ করবে, কিভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় একে অপরের ভাই ভাই হয়ে মানবিক মানুষ হিসেবে সুশৃঙ্খল ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত করবে, কিভাবে সুনীতি ও সুশাসনের মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে পরিচালনা করবে সেই জীবন ব্যবস্থাও দিয়েছেন। যে শিক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিবে। এটাই আল্লাহর চাওয়া। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বহুধাবিভক্ত হওয়ার কারণে ভিন্ন মত ও পথের সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে দেখা যাচ্ছে একই পিতার এক সন্তান মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তার বেশভূষা, চিন্তা চেতনা এক রকম আবার আরেকজন ঔপনিবেশিক সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষা অর্জন করে চিন্তা চেতনাও আচরণে হচ্ছেন আরেক রকম। ফলে দু’জন দুই মেরু বা মতাদর্শ পোষণ করার কারণে তাদের ধ্যান ধারণাও হয়ে যাচ্ছে বিপরীতমুখী। অর্থাৎ বৃটিশদের তৈরি শিক্ষা মানে হচ্ছে ভাগ করো আর শাসন করো। বড় বড় শিক্ষিত হয়েও ঘুষ, দূর্নীতির মতো অনৈতিক কর্মকান্ডে নিমজ্জিত । মাদ্রাসা ভিত্তিক কওমি, আলিয়াসহ অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাসলা মাসায়েল ও ব্যক্তিগত আমলের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে নেই ভোকেশনাল শিক্ষার কোন ব্যবস্থা। ফলে মাদ্রাসা শিক্ষিত শ্রেণীটির কাছে ধর্ম হয়ে গেছে রুটি রোজগারের হাতিয়ার।
তিনি আরও বলেন শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নে ১১টি প্রস্তাবনার মাধ্যমে একমুখী শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন সভা সেমিনারের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, শিক্ষাবিদ ও সুশিল সমাজকে বলে যাচ্ছি। কারণ একটি সমৃদ্ধশালী জাতি ও দূর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে এর কোন বিকল্প নেই।
আলোচনা সভায় উপস্থিত সম্মানীত শিক্ষকবৃন্দকে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্বলিত হ্যান্ডবিল তুলে দেওয়া হয় এবং জাতির কল্যানে বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্দি করার আহবান জানানো হয়। সভায় উপস্থিত আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন হেযবুত তওহীদের সদস্য সাদীয় জাহান সাবা।