বিশেষ প্রতিবেদক চকরিয়া ::

কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের সড়কের লাগোয়া অনেক ঐতিয্যের পুরোনো প্রায় ৭, ৮টির মত গাছ চেয়ারম্যান কতৃক নিজেই উপস্থিত থেকে তাহার লোক,জন নিয়ে সড়কের লাগোয়া সরকারি ফুল গাছ কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে। ১৬ আগষ্ট বিকেল ৫টার দিকে সরজমিনে প্রত্যক্ষসুত্রে জানান, চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম নিজেই কোন আইনকে তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বেআইনি ভাবে সরকারী পুরানা গাছগুলি কর্তন করেন বলে অভিযোগ তুলেন স্থানীয় জনগণ। অভিযোগের প্রক্ষিতে সরজমিনে স্থানীয় সাংবাদিকরা গেলে দেখতে পায় চেয়ারম্যানের বাড়ীর সামনে কর্তনকৃত গাছ ও গাছের গোড়ালি। এ নিয়ে এলাকায় সচেতন মহলের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ও ক্ষোভ। সরকারি গাছ কর্তনের বিষয়টি জানতে চাইলে চকরিয়া
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আগে না জানলে ও গাছ কাটার পর জানতে পারেন। তিনি বলেন আইন লংঘন পুর্বক কোন অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ কাটার কারও নিয়ম নেই। এনিয়ে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় একাধিকসুত্রে আরও জানান, চকরিয়া পৌরশহরের চিরিংগা জনতা মার্কেট থেকে শুরুকরে উপজেলার বাগ্গুজারা ব্রিজ পর্যন্ত ব্যস্ততম সড়কের পাশে লাগোয়া সরকারি গাছ গুলো প্রায় ৩০ বছরের অধিক পুরনো। এই গাছ বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে তাহার লোকজন নিয়ে বেআইনি ভাবে সড়কের পাশ থেকে ৭/৮ টি ফুল গাছ কর্তন করায় বিএমচরে সর্বত্রে জন,মনে ব্যাপক সমালোচনার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে গাছ কাটার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য নেয়ার জন্য গতকাল সন্ধার পর তাহার মোটো ফোনে একাধিকবার এপ্রতিবেদক কথা বলতে চাইলে ও তাৎক্ষানিক ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য নেয়া সন্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কক্সবাজার চকরিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী মোঃ দিদার সাংবাদিকদের বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি তিনি কিছু জানে না। বিষয়টি তদন্ত পুর্বক জড়িত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!