নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বগুড়া গাবতলীতে বালিয়াদিঘী মসজিদ ও কবরস্থান নিয়ে সালিশ বৈঠকে পুলিশের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত ১০ ও ১ জনকে আটক করেছে গাবতলী মডেল থানা পুলিশ। ২২ অক্টোবর শনিবার উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের পশ্চিম খা পাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে।

জানাগেছে পশ্চিম খাঁ পাড়ার কুবা মসজিদের পক্ষে সাইফুল ইসলামের সাথে মামুনুর রশিদ খা এর জমিজমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল। একাধিক বার দফায় দফায় সালিশ বৈঠক বসলেও সমাধান না হওয়ায় সাইফুল ইসলাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নাম্বার ১০২ সি ২২ গাবতলী।

১৯৬১ সালে মসজিদের ইমাম মোজাম্মেল হক মসজিদের ইমাম থাকাকালে ৪.৮০ শতাংশ জমি ওয়াকফ করেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর তার দাফন কার্য উক্ত সম্পত্তির ওপরেই সম্পূর্ণ করা হয়। বর্তমানে মসজিদ কমিটির মুসল্লীরা কোন আপত্তি না থাকাই সেখানে কবর রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। অথচ মৃত ইমামের পুত্রদ্বয় যথাক্রমে মুন্নাফ (বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত) মোতালেব মুক্তার (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড্রাইভার) হিসেবে কর্মরত থাকায় পদবীর অপব্যবহার করে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগ করে মসজিদ কমিটিকে।

এবং জমি ফেরত দিতে এবং মসজিদ ভেঙে নেয়ার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকে। খাজনা খারিজ সহ সকল বৈধতা থাকলেও মসজিদ ভেঙ্গে নেওয়ার ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করায় এলাকার ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ২২ অক্টোবর থানার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুলিশ ফোর্স উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয় থেকে সার্ভেয়ার এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মাপজোক করার প্রস্তাবনা আসলে সরজমিনে উপস্থিত হয়ে মাপ যোগের সিদ্ধান্ত হয়। এমতাবস্থায় মাপ যোগ করার আগ মুহূর্তে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত মুন্নাফ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত মুতালিব মুক্তার এর ভাগিনা লাঠিগঞ্জ গ্রামের তৈরত খা পুত্র নজরুল ইসলাম সাংবাদিক পরিচয়ে সেখানে উপস্থিত হন এবং স্থানীয় লোকজনকে উস্কানি দেন। তৎক্ষণাৎ দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায় এবং উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে এলাকার জুয়েল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!