খুলনা শহর ও রূপসা উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের মানুষের সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম আঠারোবাকী নদীর নন্দনপুর পথের বাজার খেয়াঘাট। এটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খেয়াঘাটে ট্রলার দিয়ে মানুষ ওঠা-নামা করার কংক্রিটের সিঁড়িটি ভেঙে যাওয়ার পর এটা যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য কোন রকম ভাবে কাঠ বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল যা ভেঙ্গে এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোনোমতে মানুষ ওঠা-নামা করছেন। প্রতিদিন সরকারি বেসরকারি- চাকরিজিবী, ছোট বড় ব্যবসায়ী ও স্কুল কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছেন।
নন্দরপুর গ্রামবাসীর খুলনা শহরে প্রবেশের সাশ্রয়ের মাধ্যম নন্দনপুর পথের বাজার খেয়াঘাট । এই ঘাটটি পার হতে যাত্রীদের ভাড়া দেওয়া লাগে মাত্র দশ টাকা, বিকল্প ঘাট হিসেবে যদি তিন কিলোমিটার দূরের আইচগাতী ইউনিয়নের সেনের বাজার ফেরিঘাট পার হয়ে শহরে প্রবেশ করতে হয় তবে অতিরিক্ত ভ্যান ভাড়া গোনা লাগে দিনের বেলায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা আর রাতের বেলায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা ।
নন্দনপুর পথের বাজার ঘাট থেকে বড় বড় ব্যবসায়ী ও সরকারি চাকরিজীবীগণ আগে পারাপার করলেও এখন তারা জীবনের ঝুঁকে এড়াতে বেছে নিয়েছেন তিন কিলোমিটার দূরের সেনের বাজার ঘাট।
এদিকে শিক্ষার্থী, দিনমজুর ও ছোট ব্যবসায়ীরা অর্থ বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হয় নন্দনপুর পথের বাজার ঘাট। ঘাটের টলার মাঝিরা মাঝে মাঝে কাঠ বাঁশ দিয়ে খেয়াঘাট সংস্কার করে থাকেন যাত্রী হারানোর ভয়ে।
নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা তরুণ লেখক ও সমাজ সেবক এফ এম বুরহান জানান, বিভিন্ন নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা কংক্রিটের ঘাট করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও কোন স্থায়ী সমাধান হয়নি আজও। গতকাল আমি ঘাট থেকে পড়ে আর একটুর জন্য হাসপাতালের মুখ থেকে বেঁচে গেছি ইয়াং বয়স বলে , তবুও পড়ে গিয়ে পায়ে ও নিলদাড়ায় যে আঘাত আমি পেয়েছি তা মনে থাকবে আমার আজীবন । আমার বদলে যদি কোন ৬০ উর্ধ বয়ষ্ক মুরব্বি হতো তবে বুঝতে পারতো বছরে কয়দিন “
তিনি আরো বলেন, আমরা নন্দনপুর পথেরবাজার ঘাটের স্থায়ী সমাধান বিগত সাত বছর ধরে পায়নি । নন্দনপুরবাসী এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে চায়, তারা দ্রুত কংক্রিটের তৈরি ঘাট আশা করে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে।