নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুড়িগ্রাম রেলওয়েতে কর্মরত ওয়েম্যান এনামুল হক সুজনের বিরুদ্ধে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল ভাবম‚র্তি ক্ষুন্ন করার বিভিন্ন পন্থা অবলম্বণ করে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমুলক অপপ্রচার করায় অভিজ্ঞ সচেতন মহলের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুলের নির্বাচনী প্রতিপক্ষের কতিপয় লোকজন এলাকার কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চেয়ারম্যানকে সমর্থন করায় সুজনকে মিথ্যা অপপ্রচার করে তাকে হেয় করার চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষের সর্মথকরা।

প্রতিকালে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে এনামুল হক সুজনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রনোদীত উল্লেখ করে উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন এলাকাবাসী । এ ব্যাপারে সুজন বলেন, গত ০৮-০৯-২০১৪ ইং তারিখে রেলওয়ের চাকুরিতে যোগদান করে সুনামের সাথে চাকুরি করে আসছি। তিনি হার্ট ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন বাসায় মাকে দেখারমতো কেউ নেই।

তাই আমি প্রতিদিন বাসা হতে ভোরে কুড়িগ্রামে আমার কর্মস্থলে যোগদান করে ডিউটি শেষে সন্ধায় ফিরে আসি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে আমি আমার কর্মস্থলে না গিয়ে বাসায় অবস্থান করি এটা সম্প‚র্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কারন আমি গত ০৭-১০-২০২২ইং অসুস্থতাবোধ করায় ১ মাসের ছুটিতে আছি। প্রতিবেদনে আমাকে চাঁদাবাজ ও মাদকসেবী উল্লেখ করা হয়েছে অথচ আমি সিগারেটও খাই না। চাকুরিতে যোগদানের পূর্বে আমি রাজনীতি করতাম। সে সময় আমি তিলাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিলাম। একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে এলাকার ভাই ব্রাদার বন্ধু বান্ধব বিপদে আপদে পড়লে আমি তাদের হেল্প করি। আমার দ্বারা উপকার হয় বলে তারা আমার কাছে আসে।

এটাকে তিল থেকে তাল বানিয়ে অপপ্রচার করছে। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার কু-মানসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করিয়েছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দ জানাই আপনারা সাংবাদিক তদন্ত করে সঠিক সংবাদ প্রচার করুন।
এ ঘটনায় তিলাই ইউনিয়নের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলাউদ্দিন সরকার সুজনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় উল্লেখ করে বলেন, সে একজন সামাজিক ছেলে। এলাকার মাদকের বিরুদ্ধে তার অবস্থান সুদৃঢ়।

তিলাই ইউনিয়নের ধামেরহাট গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ জাবেদ আলী মাষ্টার জানান, সুজন বাড়ী থেকে অফিস করে। সে কোন চাঁদাবাজী কিংবা মাদকের সাথে জড়িত না।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আলফাজ মাষ্টার এলাকায় সুজনের দাপিয়ে বেড়ার কথা অস্বীকার করে জানান, আমাদের চোখে এ ছেলে সমাজে কোন ধরনের বিশৃংখলা বা চাঁদাবাজী বা মাদক খাওয়া এ ধরনের কোন কাজ আমরা দেখিনি এবং বংশগতভাবে ভালো । তার পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ছাত্রজীবনে সে ছাত্রলীগ করতো।
স্থানীয় ব্যক্তি ওসিমুদ্দিন মন্ডল বলেন, বেশ কয়েকদিন দেখছি ছেলেটি অসুস্থ। এর আগে তার সাথে সকাল ৭ টায় দেখা হতো আবার সন্ধার পর দেখা হতো। কোথাও কোন অন্যায় হলে সে ছুটে যায় প্রতিবাদ করতে।

ধামেরহাট ক্ষুদ্র বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা জানান, সুজনের নামে যে অভিযোগ রয়েছে তা সম্প‚র্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সে সন্ধায় এসে আমাদের সাথে দেখা করে। বিচার শালিসীর কথা বললেন লাভলু ও আনিস মেম্বার নিজেই শালিসী কন্ট্রাকে যায় এবং আমাদের মতো লোক নিয়ে গিয়ে আমাদেরকে বিক্রি করে টাকা নিয়ে খায় আর মানুষের নাম ভাঙ্গিয়ে খায়।
মুদি দোকানী চম্পা বেগম এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সুজন ভাই আসলে চাঁদাবাজ বা মাদকের সাথে জড়িত না। আমরা গরীব অসহায় মানুষ হয়তো তাকে আমরা একটু ডাকি। তিনি সবসময়ই গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান।
তিলাই ইউনিয়নে সুজনের সারাদিন অবস্থানের কথা অস্বীকার করে ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা জানান, মাদক সেবন তো দুরের কথা সে আমার জানামতে সিগারেটও খায় না।

ইউপি চেয়ারম্যানের কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, সুজন আমার ইউনিয়নে কোন দালালী করেন না। তার বাড়ী যেহেতু বাজারে আমার পরিষদে সে অসৎ উদ্দেশ্যে একবারও আসে না। তার নামে মিথ্যাচার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!