
বগুড়া জেলার, গাবতলী থানার সোনারায় ইউনিয়নের অন্তর্গত সাবেকপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণকারী উচ্চশিক্ষিত, সুশক্ষিত ও বিদেশে সুনামধন্য সফল ব্যাবসায়ী এবং গরীব ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো একজন অসাধারণ ব্যাক্তি কানাডা প্রবাসী জনাব নুরুল ইসলাম। ১৯৬৮ সালে সাবেকপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতাঃ মৃত রইছ উদ্দিন শাহ বাবু, মাতা: মৃত লাইলী খাতুন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। শৈশব ও কৈশোর জীবন একই গ্রামে কাটিয়েছেন । সাবেকপাড়া গ্রামের আলো বাতাসে বড়ো হয়েছেন । তাইতো দীর্ঘদিন সুদূর প্রবাসে থেকেও ছোট বেলার স্মৃতি মনে করে, মাতৃভূমির কথা মনে করে এবং নিজ গ্রামের গরিব ও বেকার যুবক ছেলেদের উন্নয়ন এর জন্য আর্থিক সহায়তা সহ বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেছেন। গরিব দুঃখী মানুষের উপকারের জন্য সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং তাদের জন্য ভালো কিছু করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন ।
জনকল্যাণ মুলক কর্মকান্ড :
কানাডা প্রবাসী জনাব নুরুল ইসলাম নিজ গ্রামের গরিব দুঃখী মানুষের জন্য একক ভাবে নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ অর্থ প্রদান করেন। যারা টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেনা তাদেরকে নগদ টাকা সাহায্য দিয়ে চিকিৎসার ব্যাবস্তা করেন। এ পর্যন্ত মোট ১৯ জন গরিব মানুষ কে চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ সাহায্য দিয়েছেন । অনেকের থাকার ঘর নাই, রোদে বৃষ্টিতে কষ্ট ভোগ করছেন, তাদেরকে নতুন টিনের ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট ৪ জন গরিব মানুষকে নতুন টিনের ঘর তৈরী করে দিয়েছেন।
গ্রামের ছোট ছেলে মেয়ে ও বয়স্ক মহিলাদের ইসলামিক শিক্ষা দেয়ার জন্য নিজের পত্রিক সম্পত্তির উপর একক ভাবে নিজস্ব তহবিল থেকে বিল্ডিং তৈরী করে মক্তব স্থাপন করেছেন এবং একজন ম্যানেজার, একজন মহিলা ও একজন পুরুষ মাওলানা নিয়োগ দিয়েছেন, যেখানে সকাল বেলা ছোট ছেলে মেয়ে ও বিকাল বেলা বয়স্ক মহিলারা লেখা পড়া করেন এবং প্রতিদিন তাদের নাস্তার ব্যবস্থা করেন যাতে করে ছোট ছেলে মেয়েরা লেখা পড়ায় উৎসাহিত হয় । এবং রইছ উদ্দিন শাহ বাবু এবং লাইলী খাতুন এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা চালু করে দিয়েছেন মা বাবার নামে সম্পন্ন নিজস্ব অর্থায়নে। যেখানে একজন হাফেজ শিক্ষক সহ মোট ১৫জন এতিম ও গরিব বাচ্চারা প্রতিপালিত হবে এবং ভবিষ্যতে হাফেজ হবে।
তিনি বন্যার সময় বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করেছেন এবং Covid 19 এর সময় চাল, ডাল, আলু সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন এবং রমজান মাসের ৩০ দিন গরিব মানুষদের ইফতারি সহ খাবারের ব্যাবস্তা করেন নিজ বংশের মসজিদ টিন শেড থেকে বিল্ডিংএ রূপান্তর এবং উন্নয়ন কল্পে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা দান করেছেন এবং আসে পাশের আরো ৪ টি মসজিদ উন্নয়ন কল্পে ৮০ হাজার টাকা দান করেছেন।
জনাব নুরুল ইসলাম ৩ সন্তানের বাবা। পারিবারিক ও কর্ম জীবণে তিনি একজন সফল ও সুখী মানুষ। বড় মেয়ে কানাডাতে প্রসিদ্ধ একটি ব্যাংকে কর্মরত, মেঝো ছেলে বিখ্যাত একটি বিশ্ববিদ্যালয়-এ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অধ্যায়নরত, সব ছোট ছেলে গ্রেড সিক্স -এ অধ্যায়নরত। স্ত্রী রুমা ইসলাম একজন আদর্শ গৃহিনী। স্ত্রী ও ০৩ সন্তান সহ পরিবারের সবাই ধর্মপরায়ণ, নিয়মিত নামাজী ও কোরান তিলিয়াত কারী।
শিক্ষা জীবন :
জনাব নুরুল ইসলাম নিজ এলাকার পীরগাছা হাটের প্রাইমারি স্কুল পাস করে পীরগাছা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক, বগুড়া সরকারী আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ঢাকা সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে বি.এ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে জাপানিজ ভাষা শিক্ষা অর্জন করেন। তিনি প্রায় ৮ বছর জাপানে জীবন যাপন করেন এবং সেখানে উচ্চতর অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রী অফ কম্পিউটার সাইন্স এবং Diploma on Culinary Arts শিক্ষা ও পারদর্শিতা অর্জন করেন। বগুড়া জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নট্রামস)-এর ১৭তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন এবং সেখানে থেকে বাংলা-ইংলিশ টাইপিং ও সাঁটলিপি শিক্ষা অর্জন করেন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (স্কিটি) থেকে স্মল বিসনেস ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ গ্রহণ। করেন। এখন তিনি বাংলা, ইংলিশ, জাপানিজ, হিন্দি ও উর্দু সহ মোট ৫ টি ভাষায় অনর্গল কথা বলেন । তিনি পৃথিবীর অনেক দেশে চাকুরী ও ভ্রমণ করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশগুলি ভারত, বাহরাইন, জাপান, হংকং, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, মালটা, জার্মানি, ইতালি, আমেরিকা এবং সর্বশেষ কানাড়াতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এবং কানাডিয়ান নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন (বাংলাদেশী-কানাডিয়ান)।
কর্ম জীবন :
জীবনের প্রথম কর্ম হিসাবে জনাব নুরুল ইসলাম ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটিজিক স্টাডিস (BIISS) -এ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে যোগদান করেন এবং জনাব ব্রিগেডিয়ার আব্দুল হাফিজ এর সাথে প্রায় ০৩ বছর কাজ করেন। তারপর ১৯৮৯ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনের একটি মানি এক্সচেঞ্জের আমন্ত্রণে সেখানে যান এবং Authorize অফিসার হিসাবে চাকুরীতে যোগদান করেন, এবং সেখানেও প্রায় ৩ বছর চাকুরী করেন (অগ্রণী ব্যাংকের ফরেন Exchange ব্রাঞ্চ)। তারপর ১৯৯২ সালে দেশে ফিরেন এবং জীবন সঙ্গী। নির্বাচিত করেন। ১৯৯৩ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য জাপান গমন করেন ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে বিবাহ বন্দনে আবদ্ধ হন এবং কিছু দিন ঢাকা শহরে জাপানিজ ভাষা শিখানো, Students কাউন্সিলিং ও ফার্নিচার বিসনেস সহ বিভিন্ন বিসনেস এর সাথে জড়িত ছিলেন ।
তারপর তিনি আবারও জাপান গমন করেন এবং ২০০৪ সালে স্ব-পরিবারে ইউরোপ গমন করেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশ মালটাতে তিন তারকা বিশিষ্ট বিখ্যাত একটা হোটেল এর আমন্ত্রণে হেড শেফ হিসাবে সেখানে চাকুরীতে যোগদান করেন, Radisson হোটেল সহ পাঁচ তারকা বিশিষ্ট বিভিন্ন নামি দামি হোটেল হোটেলগুলিতে চাকুরীর পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রোডাক্ট এন্ড প্রিপারেশন এর প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
তারপর কানাডা থেকে ৪ তারকা বিশিষ্ট একটা হোটেল এর আমন্ত্রণে তিনি স্ব-পরিবারে কানাডা গমন করেন এবং সেখানে Sous Chef হিসাবে চাকুরীতে যোগদান করেন, প্রায় ০৪ বছর চাকুরী করার পর তিনি কানাডাতে নিজস্ব রেস্টুরেন্ট বিসনেস শুরু করেন (Nuruls Authentic Indian & Fusion Cuisine) এবং স্ব-পরিবারে কানাডার নাগরিত্ব অর্জন করেন। এখন তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ কানাডাতেই বসবাস করছেন স্থায়ী ভাবে। রেস্টুরেন্ট বিজনেসের পাশাপাশি, ট্রান্সপোর্ট বিসনেস, গ্রোসারি বিসনেস সহ বিভিন্ন বিসনেস এর সাথে জড়িত এবং কানাডাতে তিনি একজন সফল ব্যাবসায়ী নিজের মেধা ও কঠোর পরিশ্রমে।
উল্লেখ্য নুরুল ইসলাম ভবিষ্যতেও তাঁর সেবা অব্যাহত রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। অন্যদিকে ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রবাসী নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা দেশের বাইরে থাকলেও আমাদের সবসময় চিন্তা চেতনা থাকে দেশ কে নিয়ে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন, এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল প্রবাসীদের ভালো কাজের সহযোগিতা না করে ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয় যা মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়। পরিশেষে তিনি সকলকে এক হয়ে গরীব দুস্থ মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।