
উত্তেজনা-অভিযোগের মধ্য দিয়ে অন্ধ কল্যাণ সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
উত্তেজনা ও জোরপূর্বক দখলের অভিযোগের মধ্য দিয়ে জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০২ জুন) সকালে জেলা শহরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল ভবনে নবনির্বাচিত কমিটি হাসপাতাল ভবনে প্রবেশ করে। পরে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে জোরপূর্বক হাসপাতাল দখলে নেয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ২০১৮-২০ মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম।
গত ২১ মে নির্বাচন কমিশন দপ্তরের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন টুবলু সাক্ষরিত জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদকে কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দা কানিজ ফাতেমা মিতুকে অনুমোদন দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (০২ জুন) বেলা ১১টার নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের নেতৃত্বে সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ চক্ষু হাসপাতালে প্রবেশ করেন এবং নতুন কমিটির প্রথম সভা করেন। তবে এসময় আগের কমিটির কোন সদস্য এই সভায় উপস্থিত হননি বা নতুন কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেনি। এর আগে নতুন কমিটির সভাকে নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পরে নতুন কমিটির সদস্যরা চক্ষু হাসপাতালে এসে কমিটির প্রথম সভা করেন এবং হাসপাতালের বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এনিয়ে দুপুরে জোরপূর্বক হাসপাতাল দখলে নেয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন, জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম। জেলা শহরের সোনার মোড়ে নিজ অফিসে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হাকিম অভিযোগ করে বলেন, কমিটি নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এমনকি আগামী ০৭ জুলাই শুনানির দিন ধার্য্য করেছে আদালত। আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মিলে অপকৌশল করে অবৈধ কমিটির গঠন করেছেন। এমনকি আজকে (বৃহস্পতিবার) সকালে গুন্ডা-মাস্তান বাহিনী নিয়ে চক্ষু হাসপাতাল দখলে নেয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ। এমনকি এর আগে সকালে হাসপাতাল থেকে পুলিশ আমাকে বের করে দিয়েছে।
জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দাবিদার আব্দুল হাকিমের অভিযোগ অস্বীকার করেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন। মুঠোফোনে তিনি বলেন, কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কি ঝামেলা রয়েছে তা আমার জানা নেই। এনিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।