
এম শফিউল আলম আজাদ, ঈদগাঁওঃ
কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ১নং ইসলামপুর ইউনিয়নে প্রায় চল্লিশ বছরের পুরনো চলাচলের রাস্তা কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে দুই শতাধিক পরিবারের সদস্য ও শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। স্থানীয় মেম্বারকে অভিযোগ করেও কোন সুরহা না হওয়ায় ৪/৫ ফুট নিচু পানি চলাচলের ছরা দিয়ে পার হতে হচ্ছে সেখানকার দুই শতাধিক পরিবার ও হাজারো লোকজনকে। যার কারনে ছরায় অতিরিক্ত পানি নেমে আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া সম্ভব হবেনা শিক্ষার্থীদের। সরেজমিনে ইসলামপুর ইউনিয়নের নাপিত খালী চাক্কার দোকানের পূর্ব পাশে হলি সাইল্ড নুরানি একাডেমি রোড দিয়ে সোলতান নগর নতুন মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে সিরাজ মিয়া (৫০) ১৭ আগষ্ট বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চলাচলের রাস্তাটি কেটে দেয়। এলাকার লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তাদের হুমকি ধমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রায় ৩৫/৪০ টি পরিবার ৪০ বছর আগে থেকে সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাস করে আসছে। তাদের একমাত্র চলাচলের পথ হিসেবে প্রায় ৪০ বছর ধরে এই ছরার কালবাট টি ব্যবহার করে আসছিল। ইত্যবসরে একই এলাকার ছিদ্দিক আহামদের ছেলে, সিরাজ মিয়া নামের ব্যক্তি ছরা সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পথের জায়গা নিজেদের দাবী করে কালবার্ড কেটে দিয়ে প্রায় ২শ ফুট মত লম্বা জায়গা দখলে নিতে মাসখানেক আগে কবস্থানের ১৫/২০টি মত গাছ কেটে নিয়ে গেছে বলেও জানান এলাকাবাসী। আবার আজ চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। ভুক্তভুগী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, চলাচল করতে তাদের প্রচুর কষ্ট হচ্ছে, অসুস্থ রোগী নিয়ে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। তাছাড়া নিত্যদিনের চলাচল করা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। চলিত বর্ষায় এই পথ বেধে না দিলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। তারা স্থানীয় মেম্বার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ঘটনাটি দ্রুত মিমাংসা করার জন্য অনুরোধ করেন। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শাহাবুদ্দিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এলাকার লোকজন আমার কাছে আসছিল। আমি ছোটকাল থেকে ঐ পথ দিয়ে মানুষ চলাচল করতে দেখেছি। হঠাৎ কেন কি কারণে ব্রিজটি কেটে নিয়ে পথ বন্ধ করে দিল তা জানিনা।
ভুক্তভোগীদের আগামীকাল সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে মিমাংসা বা, প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছি ৷ অভিযুক্ত সিরাজ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, চলাচলের রাস্তাটার পাশের জমি গুলো তাদের, ছরা থেকে বর্ষার পানি গিয়ে ময়লা জমে জলকাদায় ব্রিজ বন্ধ হয়ে চাষি জমির উপর দিয়ে বর্ষার পানি চলাচলে রুপনকৃত ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে বাঁধটি কেটে দিয়েছি ।