এম,দিদারুল আলম রাউজান প্রতিনিধি

দেশ মাতৃকার ডাকে জাতির পিতা হত্যার প্রতিশোধ প্রতিরোধে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন
৭০দশকের ছাত্রলীগের প্রখর মেধা সৎ সাহসী সোনালী অর্জন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা,
মহান মুক্তিযুদ্ধে এই গেরিলা কমান্ডারের নেতৃত্বে ৫০টির বেশী আক্রমন পাক হানাদার বাহিনীকে পর্যদুস্ত করে।
পদ পদবী লোভ-মোহ কোনদিন দমাতে পারেনি চীর কুমার মৌলভী সৈয়দকে।
১৯৭৩ বাঁশখালী সংসদীয় আসনে প্রথমে মনোনয়ন দেওয়া হয়, ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ মৌলভী আবু সৈয়দের কাছে খবর আসে এই আসনে শাহজাহান চৌধুরীকে পূণমনোনয়ন দেওয়া হয় ক্ষুদ্ধ বা বিচলিত না হয়ে দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন,
১৯৭৫ এর ১৫আগষ্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারে নির্মম পৈচাশিক হত্যার বদলা নিতে অস্ত্র হাতে তুলে নেন-
তিনি সরাসরি বিশ্বাসঘাতক খুনী খন্দকার মোশতাক কে হত্যার পরিকল্পনা ও করেন।
৭৫ এর ৩-নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল খালেদ মোশাররফের সমর্থনে ঢাকায় সমাবেশের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন
৭ই নভেম্বর খালেদ মোশাররফ নিহত হলে চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সহ ভারতে আশ্রয় নিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন,
ভারতের জাতীয় নির্বাচনে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস পরাজিত হলে সাম্রাজ্যবাদের দালাল মোরারজী দেশাই সরকার মৌলভী সৈয়দ সহ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করেন ময়মনসিংহ বর্ডারে।
গ্রেফতার হয়ে ঢাকায় জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে জিজ্ঞেসাবাদের নামে ব্যানট চার্জে নির্মম নির্যাতনে কূখ্যাত খুনী জিয়াউর রহমানের প্রত্যোক্ষ নির্দেশে ১১ আগষ্ট বিনা বিচারে হত্যা করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌলবী সৈয়দ-কে।
দেশ আজ বাঙালি জাতির শেষ ভরসা আশ্রয়স্থল বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে ।
শহীদ মৌলভী সৈয়দের বীর গাঁথা জাতি জানলে শাণিত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবিত হবে নতুন প্রজন্ম
এটা সময়ের দাবি।

লিখকঃ আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী
সিনিয়র সহ সভাপতি
রাউজান উপজেলা আওয়ামিলীগ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!