অন্যের গোডাউনের চাল দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা।

মোঃ বশির উদ্দিন
বাকেরগঞ্জ সংবাদদাতা

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির শরিফকে পরিকল্পিত ভাবে অন্যের গোডাউনের চাল দিয়ে চোর সাজানোর চেষ্টায় মেতে উঠছেন স্থানীয় অসৎ ফন্দিবাজ চক্র, এমন অভিযোগে বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় সচেতন মহল সাজানো ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা । তাদের দাবি কলসকাঠি ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারের স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা মনির শরিফ দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে খাদ্যবান্ধব কর্ম সূচীর ডিলার হিসেবে নিয়মিত সৎ ভাবে চাল বিতরণ করে আসছেন, তার সততা ও জনপ্রিয়তা খর্ব করতে বহুদিন ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একটা চক্র সক্রিয় থাকা সত্বেও ন্যায় নীতির প্রশ্নে তিনি কাউকে ছাড় দেননি। চাল বিতরন কালে ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ইউনিয়ন তহসিলদার মোক্তার হোসেন উপস্থিত থেকে বিতরণ কাজের অনিয়ম পর্যবেক্ষনের দায়িত্ব পালন করেন। কার্ড প্রতি সবাই কে সঠিক ভাবে কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণ শেষে খালি গোডাউনটি চাল ব্যবসায়ী কবির হাওলাদারের জিম্মায় ছেড়ে দেন। কবির হাওলাদার বি এন পি নেতা আল আমিনের আরত থেকে চাল কিনে তার গোডাউনে রাখেন । সে কলসকাঠি বাজারে বহুকাল ধরে চালের ব্যবসা করা একজন প্রতিষ্ঠিত চাল ব্যবসায়ী হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাল এনে গোডাউন ভর্তি করে পরবর্তীতে স্থানীয় বাজারে খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করেন। তার বিরুদ্ধে ও কোনো প্রকার অসৎ কর্মকান্ডে জড়িত থাকার নজির নেই। হঠাৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি মহল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মনগড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপদস্ত করার পায়তারা চালায়। চাল চোর সাজানোর পায়তারায় লিপ্ত স্থানীয় চক্রটি চরম ফন্দিবাজ। গত ৭ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে কবির হাওলাদারের গোডাউনে আসেন তহসিলদার মোক্তাল হোসেন ও তার সহযোগীরা। এসে দোকানে রাখা নূরজাহান ও সালাম সুপারের কতগুলো বোস্তা কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই নিশ্চিত করা ছাড়াই বোস্তায় চুরি করা সরকারি চাল আছে বলে দাবী করে চালের গোডাউন সিলগালা করে রেখে যান।
এ বিষয়ে কলস কাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার
মোঃ মোক্তাল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদের্শ ক্রমে তিনি ওই গোডাউনে গিয়ে শিলগালা করে আসেন গোডাউনের ভিতরে নূরজাহান ও সালাম সুপারের মোরকে ৩০ বস্তা চাল রয়েছে । এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মনির শরীর সংবাদ মাধ্যমকে জানান
তিনি পরিকল্পিত সাজানো ষড়যন্ত্রের শিকার সরকারি চাল বিধি অনুযায়ী ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতি ও পর্যবেক্ষনে বিতরণ করা হয়ে থাকে, লেবাররা কাউকে যদি কম দিয়ে থাকে তাহলে সেটা ট্যাগ অফিসারের করার কথা তিনি প্রতিবাদ করেননি কেনো,,? এ দ্যায় তো তিনি নিজেও এড়াতে পারেননা। আসল সত্যি এটাই আমি চাল বিতরণে অনিয়ম করি নাই আর কারো কোনো অন্যায় আবদার ও মেনে নেইনি। হয়তো এজন্যই আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত স্বরযন্ত্রের নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চলছে। একই সাথে তিনি জানান বেশ কিছু দিন ধরে কলসকাঠির দক্ষিণ সাদিশ সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে একটি প্রভাবশালী মহল ভূমি খেকো ও মাটিকাটা চক্র সক্রিয় হয়ে ভেকু দিয়ে মাইলের পর মাইল আবাদি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার সংবাদ প্রকাশ হয়।এতে ভূমি খেকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বিতর্কিত করতে পরিকল্পিত চাল চুরির নাটক সাজানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয় চেয়ারম্যান ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না বলেন মনির শরিফ আওয়ামী লীগের একজন পরিক্ষিত সৎ ত্যাগী নিষ্ঠাবান বিচক্ষণ লোক, আজ অবধি তার কোনো কাজে অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাইনি। বরংশ কলসকাঠি ইউনিয়নের সকল ডিলারদের থেকে মনির শরিফের বিষয় অনেক সততা ও নিষ্ঠার সাথে বিতরণের প্রশংসা পেয়েছি। মনির শরিফ পরিকল্পিত স্বরযন্ত্রের শিকার এ বিষয় দ্বীমত পোষণ করার কোনো সুযোগ নেই। এ ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় সচেতন মহলের সাথে তিনি ও সহমত পোষণ করে মিথ্যা স্বরযন্ত্র মুলক নাটকের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে দ্রুত নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে মনির শরিফের গোডাউন খুলে দেবার আহবান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!
%d bloggers like this: